পরিচালনা পরিষদ
আবুল মোমেন
বিশিষ্ট সাংবাদিক, কবি, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ ও একুশে পদকপ্রাপ্ত আবুল মোমেন ২০২৩ সালের ১১ জুলাই নতুন ধারার দৈনিক আমাদের সময়ের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি আমাদের সময়ের উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রামে প্রথম আলোর আবাসিক সম্পাদক হিসেবে ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন। বিশিষ্ট সাহিত্যিক আবুল ফজলের ছেলে আবুল মোমেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে ১৯৭৩ সালে এমএ পাস করেন। স্বাধীনতার পর পরই দৈনিক স্বাধীনতা পত্রিকায় কাজ শুরু করেন তিনি। এর পর ডেইলি লাইফ ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দৈনিক পূর্বকোণের সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া তিনি দৈনিক ভোরের কাগজে চট্টগ্রামের আবাসিক সম্পাদক এবং চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর সেখানে তিনি শিক্ষকতায়ও যুক্ত ছিলেন। আবুল মোমেন স্বাধীনতার পর থেকে সমকালীন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করে আসছেন। শিক্ষা নিয়ে চার দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন তিনি। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। ২০১৭ সালে সাংবাদিকতায় একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি। এ ছাড়া বাংলা একাডেমি পুরস্কার, বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত রবীন্দ্র পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার, শিশু সাহিত্যে চন্দ্রাবতী একাডেমি পুরস্কার ছাড়াও অসংখ্য পুরস্কার পান তিনি।
ড. খোন্দকার শওকত হোসেন
সাবেক সচিব ও ইউনিক গ্রুপের প্রধান উপদেষ্টা ড. খোন্দকার শওকত হোসেন ২০২৩ সালের ১১জুলাই আমাদের সময়ের উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসরের আগে ড. খোন্দকার শওকত হোসেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার সহ প্রশাসনের নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার কদিমধল্যা গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান ড. খোন্দকার শওকত হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ (অনার্স), এমএ এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকসে উচ্চতর কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে সরকারি চাকরিতে (বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার) যোগ দেন। বিশ্বব্যাংক, এডিবি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ইউনিসেফ প্রভৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ড. খোন্দকার শওকত ঢাকা ইউনিভার্সিটি অব ইন্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (ডুয়েট)-এর সিন্ডিকেট মেম্বার এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট মেম্বার ছিলেন। তিনি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ড. আয়েশা-রাজিয়া হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
তাপস মজুমদার (প্রয়াত)
অ্যাডভোকেট তাপস মজুমদার আমাদের সময়ের প্রকাশক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ২০২৩ সালের ১১ জুলাই। দায়িত্ব নেয়ার প্রায় দেড় মাসের মধ্যে গত ২২ আগস্ট তিনি হঠাৎ করে নিজ বাসায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৫ বছর। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী এস. এম. বকস কল্লোলের মৃত্যুর পর তিনি দৈনিক আমাদের সময়ের প্রকাশক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, শিক্ষানুরাগী তাপস মজুমদার আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে ইউনিক গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তার মৃত্যুর পর দৈনিক আমাদের সময়ের প্রকাশক নিয়োগ চলমান প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
আমাদের সম্পর্কে
সর্বশেষ জাতীয় গণমাধ্যম জরিপ (জাতীয় গণমাধ্যম জরিপ ২০২১, ক্যান্টার এমআরবি) অনুসারে, প্রতিদিন ৫০ লাখের বেশি মানুষ আমাদের সময় ছাপা পত্রিকা পড়ে থাকেন। এই জরিপ অনুসারে আমাদের সময় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পঠিত পত্রিকা। জরিপে দেখা গেছে, শুধু পাঠকসংখ্যাতেই নয়, দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত এবং আর্থসামাজিকভাবে শীর্ষ স্তরের মানুষদের মধ্যে আমাদের সময় সবচেয়ে জনপ্রিয়। সে কারণে কোনো পণ্য, সেবা বা ব্র্যান্ডের তথ্য সাধারণভাবে টার্গেট পাঠকের কাছে এবং বিশেষভাবে সমাজে মতামত তৈরি করার মতো মানুষের কাছে পৌঁছাতে আমাদের সময় অন্য পত্রিকার চেয়ে বহুগুণ এগিয়ে রয়েছে। আবার পাঠকসংখ্যা ও পেজভিউর হিসাবে আমাদের সময়র অনলাইন সংস্করণ বা আমাদের সময় ডটকম বিশ্বে বাংলা ভাষার শীর্ষতম ওয়েবসাইট। প্রতি মাসে এর ভিজিটর প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ। এদের কারণে আমাদের সময় অনলাইন সংস্করণের পেজভিউ প্রতি মাসে প্রায় ২২ কোটি। এ কারণে অ্যালেক্সার হিসাবে আমাদের সময় পোর্টাল দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ পাঁচটি গণমাধ্যমের একটি। ১ কোটি ৯৬ লাখ অনুসারী নিয়ে আমাদের সময়র ফেসবুক পেজ বাংলাদেশের যেকোনো শ্রেণিতে সর্বোচ্চ। অনুরাগী, অনুসারী ও পাঠকদের সঙ্গে কোনো পণ্য, সেবা বা ব্র্যান্ডকে যুক্ত করার দিক থেকে এই পেজ এখন ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পেজের মধ্যে বাংলাদেশে সবার শীর্ষে। ছাপা পত্রিকা এবং অনলাইন পোর্টালের জন্য আলাদা রেট কার্ড আছে। আমাদের সময় অফিসে এসে অথবা নির্ধারিত এজেন্ট পয়েন্টে গিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়।